পোস্টগুলি

চাহিদা বিধি চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর

ছবি
চাহিদা বিধি চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর। অথবা, চাহিদা বিধি কি ? চিত্রে দেখাও। অথবা, চাহিদা বিধিটি কি? → দাম বাড়লে চাহিদা কমে, দাম কমলে চাহিদা বাড়ে। দামের সাথে চাহিদার পরিমাণের এই বিপরীত সম্পর্ককেই চাহিদা বিধি বলে। বিধিটি চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যাঃ চিত্রে, ভূমি অক্ষে চাহিদার পরিমাণ এবং লম্ব অক্ষে দাম বিবেচিত। DD' চাহিদা রেখা। যখন দাম P1 তখন চাহিদার পরিমান Q1 ফলে ৭ বিন্দু পাই। দাম যখন বৃদ্ধি পেয়ে P2 হয় তখন চাহিদার পরিমাণ হ্রাস পেয়ে Q2 হয় । ফলে b বিন্দু পাই। আবার দাম P2 থেকে Q3 তে বৃদ্ধি পেলে চাহিদার পরিমাণ Q2 থেকে হ্রাস পেয়ে Q3 হয়। ফলে C বিন্দু পাই।  a, b, c বিগুলো যোগ করে বাম থেকে ডানদিকে নিম্নগামী চাহিদা রেখা (DD') পাওয়া যায়। যা দামের সাথে চাহিদার পরিমাণের মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক নির্দেশ করে। ইহাই চাহিদা বিধি। আরও পড়ুন: চাহিদা সূচী ও চাহিদা রেখার মধ্যে পার্থক্য লিখ। চাহিদার নির্ধারক সমূহ কি কি ? / চাহিদা কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে?   ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য সম...

চাহিদা সূচী ও চাহিদা রেখার মধ্যে পার্থক্য লিখ

ছবি
চাহিদা সূচী ও চাহিদা রেখার মধ্যে পার্থক্য লিখ। অথবা, চাহিদা সূচী ও চাহিদা রেখার মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ কর। অথবা, সূচী ও চাহিদা রেখার মধ্যে পার্থক্য কি? → চাহিদা সূচী ও চাহিদা রেখার মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য না থাকলেও পদ্ধতিগত পার্থক্য রয়েছে । চাহিদা সূচী ও চাহিদা রেখার মধ্যে পার্থক্যসমূহ নিচে আলোচনা করা হলোঃ ১. সংজ্ঞাগত পার্থক্যঃ দাম ও চাহিদার মধ্যকার বিপরীত সম্পর্ক তালিকার মাধ্যমে প্রকাশ করাকে চাহিদা সূচী বলে। অন্যদিকে, চাহিদা সূচীর জ্যামিতিক প্রকাশই হল চাহিদা রেখা। ২. প্রকাশের ধরণ : চাহিদা সূচীতে দাম ও চাহিদার সম্পর্ক গানিতিকভাবে প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে, চাহিদা রেখাতে দাম ও চাহিদার সম্পর্ক জ্যামিতিক ভাবে প্রকাশ করা হয়। ৩. অবস্থান : চাহিদা সূচীতে বামদিকে দাম এবং ডানদিকে চাহিদার পরিমাণ দেখানো হয়। অন্যদিকে, চাহিদা রেখাতে ভূমি অক্ষে চাহিদার পরিমাণ এবং লম্ব অক্ষে দাম দেখানো হয়। ৪. নির্ভরশীলতা : চাহিদা সূচী চাহিদা রেখার উপর নির্ভরশীল না অন্যদিকে, চাহিদা রেখা চাহিদা সূচীর উপর নির্ভরশীল। আরও পড়ুন: চাহিদার নির্ধারক সমূহ কি কি ? / চাহিদা কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে? ...

মিশ্র অর্থনীতির মূল বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা কর

মিশ্র অর্থনীতির মূল বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা কর। অথবা মিশ্র অর্থনীতির গুণসমূহ আলোচনা কর। ভূমিকা: মিশ্র অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও নেই আবার সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণও নেই।  মিশ্র অর্থনীতির মূল বৈশিষ্ট্য নিম্নে আলোচনা করা হলো: ১. সরকারি বিনিয়োগঃ জনগুরুপূর্ণ খাতসহ রাষ্টীয় নিরাপত্তা খাতগুলোতে সরকারি উদ্যোগে বিনিয়োগ পরিচালিত হয়।  ২. বেসরকারি বিনিযোগঃ ববসাস বাণিজ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পস্থাপনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিনিয়োগ পরিচালিত হয়। তবে সরকারি পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে যাতে একচেটিয়া কারবার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৩. ব্যক্তিগত মালিকানাঃ মিশ্র অর্থব্যবস্থায় সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানার সুযোগ থকলেও কিছু কিছু সম্পদের মালিকানা ব্যক্তির হাতে দেওয়া হয় না। ৪. সরকারি মালিকানাঃ মিশ্র অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত মালিকানার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে সরকারি মালিকানা বজায় থাকে। ৫. ভোক্তার স্বাধীনতা: মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ভোক্তার পছন্দ অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রিক উৎপাদন করা হয় এবং ক্রেতা তার পছন্দ অনুযায়ী দ্রব্য ক্রয় ও ভোগ করতে পারে। ৬. দাম ব্যবস্থা: পুঁজিবাদী ব...

অপারেশন সার্চলাইট কি? অপারেশন সার্চলাইট বলতে কি বোঝ?

অপারেশন সার্চলাইট বলতে কি বোঝ? অপারেশন সার্চলাইট কি? অপারেশন সার্চলাইট সংক্ষেপে আলোচনা কর। ভূমিকাঃ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করলেও ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা ছেড়ে না দিয়ে কূটকৌশক অনুসরণ করেন। ফলে বাঙালি জাতি স্বায়ওশাসন থেকে ক্রমশ স্বাধীনতার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। এরূপ পরিস্থিতিতে সরকার গণপরিষদের এক নীলনকশায় প্রণয়ন করে। অপারেশন সার্চলাইট: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর পাকবাহিনী যে বর্বরতা চালায় তাকে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বলে। অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতের গণহত্যাকে বুঝায়। বিস্তারিত আলোচনাঃ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ এ অপারেশন সংঘটিত হলেও মূলত মার্চের প্রথম থেকে এর প্রস্তুতি চলতে থাকে। জেনারেল টিক্কা খান এবং রাও ফরমান আলী অপারেশন অপারেশন সার্চলাইটের নকশা চূড়ান্ত করেন। ১৯ মার্চ থেকে পূর্ব-বাংলার সৈন্যদের নিরস্ত্র করা শুরু হয় । সব প্রস্তুতি শেষে ২৫ মার্চ গণহত্যার জন্য বেছে নেয়া হয়। অন্যদিকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে গপ...

একটি কাল্পনিক চাহিদাসূচী থেকে চাহিদারেখা অঙ্কন কর

ছবি
চাহিদারেখা হচ্ছে এমন একটি রেখা যে রেখার বিভিন্ন বিন্দুতে দ্রব্যের দামের সাথে চাহিদার বিপরীত সম্পর্ক নির্দেশ করে। অর্থাৎ দাম ও চাহিদার পরিমাণের বিপরীত সম্পর্ককে জ্যামিতিক ভাবে উপস্থাপন করলে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে চাহিদা রেখা বলে । আমরা জানি,         একটি চাহিদা সমীকরণ,                     D = 10-2P ; যেখানে,                                                  D = চাহিদার পরিমাণ                                                  P = দাম চাহিদা সমীকরণ থেকে সূচি তৈরিঃ দাম (P) টাকা চাহিদার পরিমাণ (D) একক সংমিশ্রণ 1 টাকা 8 একক a 2 টাকা 6 একক b 3 টাকা 4 একক c চিত্রে, ভূমি অক্ষে চাহিদার পরিমাণ এবং লম্ব অক্ষে দাম বিবে...

চাহিদার নির্ধারক সমূহ কি কি? / চাহিদা কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

ছবি
 → চাহিদা যে যে বিষয়ের উপর নির্ভর করে বা চাহিদার নির্ধারক সমূহ নিচে আলোচনা করা হলোঃ ১. দ্রব্যের নিজস্ব দাম : দ্রব্যের নিজস্ব দামের উপর চাহিদা নির্ভর করে । দাম কমলে চাহিদা বাড়ে এবং দাম বাড়লে চাহিদা কমে। ২. পরিপূরক দ্রব্যের দাম : পরিপূরক দ্রব্যের দামের উপর চাহিদা নির্ভর করে। পরিপূরক দ্রব্যের দামের সাথে চাহিদার সম্পর্ক বিপরীত । ৩. বিকল্প দ্রব্যের দাম : বিকল্প দ্রব্যের দামের ওপর চাহিদা নির্ভর করে। বিকল্প দ্রব্যের দামের সাথে চাহিদার সম্পর্ক সরাসরি । ৪. ভোক্তার আয় : ভোক্তার আয়ের উপর চাহিদা নির্ভর করে । ভোক্তার আয়ের সাথে চাহিদার সম্পর্ক সরাসরি । ৫. ভোক্তার রুচি ও পছন্দ : ভোক্তার রুচি ও পছন্দ অনুকূলে থাকলে ঐ দ্রব্যের চাহিদা বাড়বে এবং প্রতিকূলে থাকলে ঐ দ্রব্যের চাহিদা কমবে । ৬. ভোগ প্রবণতা : ভোগ প্রবণতার সাথে চাহিদার সম্পর্ক সরাসরি । ৭. সঞ্চয় প্রবণতা : সঞ্চয়ের সাথে চাহিদার সম্পর্ক সরাসরি। ৮. আয় বণ্টন : আয় বন্টন সুষম হলে চাহিদা বাড়বে এবং আয় বন্টন অসম হলে চাহিদা কমবে। ৯. জনসংখ্যা : জনসংখ্যার সাথে চাহিদার সম্পর্ক সরাসরি। ১০. বিজ্ঞাপন : বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে চাহি...

চাহিদা অপেক্ষক কি?

  → চাহিদা কতগুলো বিষয় বা উপাদানের উপর নির্ভরশীল। চাহিদার উপাদানের উপর চাহিদার পরিমাণের এই নির্ভরশীলতার সম্পর্ককে যে অপেক্ষক দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে চাহিদা অপেক্ষক বলে । D = f (P. Py, M,T) যেখানে,  D = X দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ P = x দ্রব্যের দাম Py = সম্পর্কিত দ্রব্যের দাম M = ভোক্তার আয় T = ভোক্তার রুচি অন্যান্য অবস্থা স্থির থাকলে শুধুমাত্র দামের উপর চাহিদার নির্ভরশীলতা বুঝালে চাহিদা অপেক্ষক হবে - D = f(P)