শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো, শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
শীত হোক বা যে কোনো মৌসুম বাচ্চাদের যত্ন নেওয়াটা অনেক জরুরী। শীতে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া আরও বেশি দরকার কারন এই সময় বাচ্চাদের শীতের কারনে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ হয়ে থাকে এবং ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় বাচ্চাদের যত্ন নিতে হবে।
প্রিয় পাঠক, এ টু জেড টেক বিডি এর নতুন একটি আর্টিকেল এ আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করবো শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো হবে। শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন লোশন ব্যবহার করবেন। বাচ্চাদের ত্বকের যত্নে কোন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো হবে ইত্যাদি।
শীতকালে বাচ্চাদেরকে নিয়ে আমরা চিন্তার মধ্যে থাকি। শীতে বাচ্চাদের ত্বক খসখসে, শুস্ক, চুরচুরে হয়ে উঠে। এতে বাচ্চাদের দেখতে ভালো দেখা যায় না। কোন ক্রিম ব্যবহার করলে বাচ্চাদের জন্য ভালো সেই নিয়ে সাজানো আজকের শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো এই পোস্টটি।
আরও পড়ুন:
পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা
খুশখুশে কাশির সিরাপ ও কাশি দূর করার উপায়
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
থাইরয়েড কি খেলে ভালো হয়
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো, শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন |
শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
শীত আসলেই শিশুদের বাবা মা চিন্তিত হয়ে পড়েন কোন ক্রিমটি তার বাচ্চার জন্য কিনবে যেটি ব্যবহার করলে ত্বক মলিন থাকবে বাচ্চাদের দেখতে কিউট ও তুলতুলে লাগবে। বাজারে অনেক ক্রিম রয়েছে। বুঝে শুনে ভালো ক্রিম নিতে না পারলে বাচ্চাদের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে। এতে ত্বক নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শরীরে বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিতে পারে।
বাজার থেকে ক্রিম কেনার সময় আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে এবং ব্র্যান্ড, কোয়ালিটি, সাইড ইফেক্ট মুক্ত ক্রিম বাছাই করতে হবে। কারন যাচাই বাছাই করে ক্রিম না কিনতে পারলে বেনামি ক্রিম কিনলে আপনার বাচ্চার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই আমরা চেষ্টা করবো সবসময় একটি ভালো ক্রিম ক্রয় করতে এক্ষেত্রে আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারি। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় ও ভালো ক্রিম এর ছোট একটি লিস্ট দেওয়া হলো এই ক্রিম গুলো আমরা প্রায় সাবাই চিনে থাকি
- জনসন বেবি লোশন
- কিউট বেবি লোশন
- তিব্বত বেবি লোশন
- সিয়া বাটার বেবি লোশন
- হিমালায় হারবার বেবি লোশন
শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
শীতকালে শিশুদের ত্বকের যত্ন করা অনেক জরুরী যা নিয়ে ইতিপূর্বেও বলা হইছে। শীতে বাচ্চাদের ত্বক রুক্ষ ও হাত পা খুশকো হয়ে থাকে। তাই এই সময় ত্বকের যত্ন নেওয়া অনেক দরকার। ত্বকের যত্ন নিলে ও নিয়মিত ক্রিম/লোশন লাগালে ত্বক তুলতুলে থাকে ও নরম থাকে এতে যেমন শিশুদেরক সুন্দর দেখা যায় তেমনই শিশুদেরও ভালো লাগে। শীতের সময় বাচ্চাদের বাবা মা দের সচেতন থাকতে শিশুর ত্বকের ব্যপারে এবং শিশুদের যেন শীত না লাগে সেইদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে শীতকালে সুন্দর রাখার জন্য নিয়মিত গোসল ও সুতি কাপর দিয়ে শরীর মুছে দিবেন। গোসলের সময় হালকা সাবান ব্যবহার করতে পারেন। বাচ্চাদেরকে রোদের তাপে বেশিক্ষন রাখবেন না আবার বেশি ঠান্ডাও লাগাবেন না। এবং শিশুদেরকে শীত থেকে দূরে কয়েকটি আবারনের মধ্যে রাখবেন। এতে করে ধুলাবালি থেকে তাদের ত্বক মুক্ত থাকবে এবং তাদেরকে আরও সুন্দর দেখাবে।
এছাড়াও ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন অলিভ অয়েল, গ্লিসারি, লোশন, গোসলের সময় শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে বাচ্চাদের ত্বক মসৃন, মলিন ও নরম তুলতুলে হবে এছাড়াও আরও নানা উপায়ে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া যেতে পারে।
শীতে বাচ্চাদের জ্বর হলে করণীয়
শীতকালে বাচ্চাদের অনেক সময় জ্বর হয়ে থাকে। শীতে জ্বর নিয়ে আমরা অনেকেই চিন্তার মধ্যে থাকি। শীতে বাচ্চাদের যাতে জ্বর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শীতে শিশুদের জ্ব হয়ে নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ বাসা বাধতে পারে। তাই শীতে বাচ্চাদেরকে যথা সময়ে গোসল করানো উচিৎ এবং সময়মত খাবার খাওয়ানো উচিৎ। নিয়মিত সময়মত খাবার, গোসল করালে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
এছাড়াও বাচ্চাদেরকে গরম কাপর পড়িয়ে রাখতে হবে এবং শুকনা জায়গায় রাখতে হবে। কারন ভেজা স্থানে থাকলে বাচ্চাদের জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শীতে যেন বাচ্চাদের জ্বর না আসে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। জ্বর আসলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ও খাবার খাওয়াতে হবে।
শিশুর ত্বকের যত্বে করনীয়
শীত আর গরম নয় ত্বকের যত্ন নিতে হয় সবসময় তবে শীতে বাচ্চাদের ত্বক বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে। শীতে ত্বকের লিপিড স্তরের ক্ষমতা হ্রাস পায় শিশুদের ত্বক আদ্র হয়ে থাকে শীতে বাতাসের প্রভাবে শিশুর ত্বকে প্রভাব ফেলে। এই সময় প্রয়োজন প্রয়োজনীয় ময়েশ্চরাইজার।
লোশন ব্যবহার করলে শিশুর ত্বক ময়েশ্চারাইজ হয়। এতে ত্বকের আদ্রতা ফিরে পায়, ত্বক কমোল ও নরম থাকে। ত্বকের সজিবতা ফিরে আসে। এছাড়াও নিয়মিত লোশন ব্যবহারে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
নিয়মিত শিশুর ত্বকে তেল ব্যবহারের ফলে ত্বকে আদ্রতা ফিরে পায়। তেল মালিশ করলে দেহের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। ত্বক সুস্থ থাকে বেবি অয়েল ব্যবহারে ত্বকের কোষগুলো কোমল ও নরম থাকে।
স্ক্যাল্পের বিশেষ যত্ন
শুষ্কতার ফলে বাচ্চাদের শরীরে ফ্ল্যাকি স্ক্যাল্পের সমস্যা তৈরি হয়। এই সময় মাথায় সঠিক তেল লাগাতে হয়। এক্ষেত্রে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তেল ব্যবহার করতে পারেন।
গোসলের সময় যত্ন
রুটিন অনুযায়ী গোসল করানো একটি অন্যতম যত্ন যা শিশুর রোগ বালাই থেকে মুক্ত রাখবে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে সাথে সাথে ত্বক সুস্থ থাকবে। তবে গোসলের সময় অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল করাবেন না। ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। এবং বাচ্চাদের চাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
বাচ্চাদের ঠোট ফাটা সমস্যা
শীতকালে বাচ্চাদের ঠোট ফেটে যায়। শুধু বাচ্চাদের না বড়দের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হয়। এক্ষত্রে ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলেন। বাচ্চাদের জন্য আলাদা জেলি পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। কৃত্রিম রং সুগন্ধি মেশানো ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
ডায়াপার জনিত সমস্যা
বাচ্চাদের ডায়পারজনিত সমস্যা একটি নরমাল ব্যপার। উন্নতমানে ও সঠিক পন্য বাছাই করুন। এছাড়াও ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে পারেন। ভালো মানের সাবান দিয়ে ডায়াপার পরিস্কার করুন। ভেজা ডায়াপার সময়মত পরিবর্তন করুন। নিয়মমত ব্যবহার না করলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
পরিশেষ
বাচ্চাদের ত্বকের যত্নে ও শীতে বাচ্চাদের যত্নে কি কি করবেন এবং কি কি করবেন না সেটা নিতে আশা করি আপনাদের সবকিছু জানা হয়ে গেছে সংক্ষিপ্ত আকারে এছাড়াও আরও কিছু জানতে চাইলে পোস্ট এর নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আজকের পোস্ট টি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরিশেষে আবার বলবো বাচ্চাদের সঠিক সময় যত্ন নিন। নয়তো অল্প টাকার অভাবে যত্ন না নিলে পরে চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ব্যায় হবে। তো সবাই ভালো থাকনে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ।
Source: firstbloggerit, kalerkhantho, ourislam24
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন