পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

ছবি
ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্যসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ ১. সংঙ্গাগত পার্থক্য : অর্থনীতির যে শাখায় অর্থনীতির আংশিক বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ব্যষ্টিক অর্থনীতি বলে। অন্যদিকে অর্থনীতির সে শাখায় অর্থনীতির সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে সামষ্টিক অর্থনীতি বলে। ২. শব্দগত পার্থক্য : ব্যষ্টিক বা micro শব্দের অর্থ হলো ক্ষুদ্র বা ছোট। অন্যদিকে, সামষ্টিক বা Macro শব্দের অর্থ হলো বৃহৎ। ৩. পরিধিগত পার্থক্য : ব্যষ্টিক অর্থনীতির পরিধি ক্ষুদ্র অন্যদিকে, সামষ্টিক অর্থনীতির পরিধি বৃহৎ । ৪. চিত্রগত পার্থক্য : ব্যষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে অর্থনীতির আংশিক চিত্র পাওয়া যায়। অন্যদিকে, সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে অর্থনীতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যায়। ৫. ভারসাম্য : ব্যষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেতে আংশিক ভারসাম্য বিশ্লেষণ করা হয়। অনদিকে, সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে সামগ্রিক ভারসাম্য বিশ্লেষণ করা হয়। ৬. উদাহরণ : ব্যষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে একজন ভোক্তার আয়, ভোগ, বিনিয়োগ বিশ্লেষণ করা হয় । অন্যদিকে, সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে জাতীয় আয়, সামগ্রিক ভোগ, বি...

ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা কর

ছবি
ধনতান্ত্রিক বা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা হলো এমন একটি অর্থ ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের উপকরণগুলোর উপর ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকে এবং মুনাফার ভিত্তিতে উৎপাদন ব্যবস্থা পরিচালিত হয় । এখানে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে অবাধ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে ক্রয়মূল্য নির্ধারিত হয়। এজন্য একে স্বাধীন বা মুক্ত অর্থনীতিও বলে। ধনতান্ত্রিক বা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে আলোচনা করা হলোঃ ১. ব্যক্তিগত সম্পত্তি : ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ধনসম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা । অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তি তার সম্পত্তির ভোগ, দখল, হস্তান্তর ও উত্তরাধিকারের অধিকার ভোগ করতে পারে। ২. মুনাফা অর্জন : ধনতন্ত্রের প্রত্যেক উৎপাদনকাঠীর লক্ষ্য হলো সার্বাধিক মুনাফা অর্জন করা। অর্থাৎ সামাজিক কল্যানের দিকে লক্ষ্য না রেখে বরং ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের তাগিদেই উৎপাদন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। ৩. উদ্যোগের স্বাধীনতা : ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থার আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো ব্যক্তিগত উদ্যোগের স্বাধীনতা। এখানে প্রত্যেক ব্যক্তি তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন পেশা গ্রহণ করতে পারে বা যে কোন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। ...

সংখ্যাগত উপযোগ ও পর্যায়গত উপযোগের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

ছবি
সংখ্যাগত উপযোগ ও পর্যাসগত উপযোগের মধ্যে পার্থক্যসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো: ১. সংজ্ঞাগত পার্থক্য : কোন দ্রব্য ভোগের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত উপযোগকে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করলে তাকে সংখ্যাগত বা পরিমাণগত উপযোগ বলা হয়। অন্যদিকে, কোন দ্রব্য ভোগের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত উপযোগকে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ না করে যদি উপযোগের বিভিন্ন স্তর পর্যায়গতভাবে প্রকাশ করা হয় তবে তাকে পর্যায়গত উপযোগ বলে। ২. প্রকাশ পদ্ধতি : সংখ্যাগত উপযোগের ক্ষেত্রে ভোক্তা ১,২, ৩ ইত্যাদি সংখ্যার মাধ্যমে উপযোগ প্রকাশ করতে পারে। অন্যদিকে, পর্যায়গত উপযোগের ক্ষেত্রে ভোক্তা উপযোগের বিভিন্ন স্তর যেমন ১ম, ২য়, ৩য় ইত্যাদির মাধ্যমে উপযোগ প্রকাশ করে। ৩. প্রবক্তা : সংখ্যাগত উপযোগের প্রবক্তা অধ্যাপক মার্শাল । অন্যদিকে পর্যায়গত উপযোগের প্রবক্ত অধ্যাপক জে. আর হিক্স এবং এ্যালেন। ৪. মূলভিত্তি : সংখ্যাগত উপযোগের মূলভিত্তি হলো চাহিদা তত্ত্ব বা মার্শালীয় উপযোগ তত্ত্ব । অন্যদিকে, পর্যায় রাত উপযোগের মূলভিত্তি হলো নিরপেক্ষ রেখা বিশ্লেষণ। ৫. সমষ্টিকরণ: সংখ্যাগত উপযোগের ক্ষেত্রে ভোগের বিভিন্ন একক থেকে প্রাপ্ত উপযোগের সমষ্টিকরণ সম্ভব। অন্যদিকে, প...